বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত জানুন
বিদেশে মাস্টার্স করার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। তাদের স্বপ্নপূরণ করবে জন্য কিন্তু তারা এটা জানেনা স্থানভেদে টিউশন ফি জীবনযাত্রা খরচ এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মাস্টার্স করার জন্য কি পরিমাণে অর্থ প্রয়োজন হতে পারে।
এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। তবে কিছু দেশে টিউশন ফি কম অথবা স্কলারশিপ এর সুযোগও থাকে। এটি নির্ভর করে আপনি কোন দেশের স্কলার নিয়ে পড়তে চান। নিচে কয়েকটি আনুমানিক হিসাব দেওয়া হলো এখান থেকে আপনি একটি ধারণা পেয়ে যাবেন।
সূচীপত্রঃ বিদেশে মাস্টার্স করার জন্য জীবনযাত্রার খরচ
- বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে
- স্কলারশিপ কি বা কাকে বলে
- বিদেশি স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
- সিজিপিএ মানে কি
- বিদেশী মাস্টার্স করতে কত সিজিপিএ লাগে
- সিজিপিএ এবং জিপিএ মধ্যে পার্থক্য কি
- বাংলা অনার্স ও মাস্টার্স করা স্টুডেন্টদের ভবিষ্যৎ কি
- শুধু অনার্স থাকলে পিএইচডি করা যাকে কি
- এইচএসসি পরীক্ষা পর কি নিয়ে পড়বেন
- লেখকের শেষ কথা
বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত
আমরা বিদেশ বলতে বুঝি বাহিরের দেশ। বিদেশে মাস্টার্স করার জন্য জীবনযাত্রার খরচও দেশ ও শহর ভেদে ভিন্ন হয়। যেমনযুক্তরাজ্যে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া্ মতো দেশগুলোতে জীবনযাত্রা খরচ বেশি। যেখানে জার্মানি, ফ্রান্স্,মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে জীবনযাত্রা খরচ তুলনামূলক।বিভিন্ন দেশে টিউশন ফি ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত পশ্চিমা দেশগুলোতে টিউশন ফি বেশি হয়ে থাকে,তবে অনেক দেশ আছে টিউশন ফি কম,আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে স্কলারশিপের সুযোগ সুবিধা থাকে।
আরো পড়ুনঃ
অন্যান্য খরচের মধ্যে রয়েছে ভিসা প্রসেসিং ফি, বিমান ভাড়া, স্বাস্থ্য বীমা, বইপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রিক খরচ। যদি আপনি বিদেশে মাস্টার্স করার কথা ভেবে থাকেন। তাহলে আপনার পছন্দের দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। স্কলারশিপ এবং অন্যান্য তথ্য সম্বন্ধেও যাচাই করতে হবে। নিচে বিদেশে মাস্টার্স করার জন্য তুলনামূলকভাবে খরচ তালিকা দেখানো হলো।
- টিউশন ফিঃ যুক্তরাজ্যে বা যুক্তরাষ্ট্র মাস্টার্স কোর্সের ফি প্রায় ২০ থেকে ৫০ ডলার বা ইউরো হতে পারে।
- জীবনযাত্রার খরচঃ বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য এটি একটি বড় খরচ এটাই প্রায় ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ ডলার হতে পারে।
- খাওয়ারও অন্যান্য খরচঃ প্রতিদিনের খরচ প,রিবহন এবং অনান্য সেবা পেতে ৩০০০ থেকে ১০,০০০ ডলারের বেশি খরচ হতে পারে।
- বিমান টিকিট ভিসাঃ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের বিমান টিকিট ভিসা খরচ হয়ে থাকেন। এটামূলত দেশের উপর নির্ভর করেন। ৫,০০ ডলার থেকে ২,০০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
স্কলারশিপ কি বা কাকে বলে
স্কলার্শিপ মানে উপবৃত্তি বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাল ফলাফল করলেন উপর থেকে বা
সরকার থেকে পাওয়া যায় তাকে মূলত স্কলারশিপ বলা হয় সরকার শিক্ষার্থীদের
পড়াশোনার খরচ যেমন টিউশন ফি বই পত্র বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসবিদেশে
মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত জানুনপত্র দিয়ে থাকেন সহজভাবে বলতে গেলে
শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায় দাম স্কলারশিপের
মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ বহন করতে সাহায্য করে ভূমিকা পালন করে স্কলারশিপ।
বিদেশি স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
স্কলারশিপ কারা পায়, স্কলারশিপ তারাই পায় যাদের জিপিএ ভালো জিপিএ খারাপ হলে ভবিষ্যতে পড়াশোনা সংক্রান্ত বাদ চাকরির ক্ষেত্রে অনেক কথা শুনতে হতে পারে। বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষা দক্ষতা্এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।
- শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বেশিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বলে জিপিএ ৩.০ লাগবে তাহলে অ্যাডমিশন দিব আবার অনেকে ৩.৩-৩.৫ চায়। যদি আপনার জিপিএ কম থাকে তাহলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনি হয়তো উন্নত নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন পাবেন না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯০-৩০০ এর GRE score পেয়েও নিয়ে নেয়| আবার ও বলে Overall profile দেখে যেন আপনাকে দুর্বল ক্যান্ডিডেট মনে না হয়|
- ভাষাগত যোগ্যতাঃ মাতৃভাষা আমাদের যেহেতু ইংরেজি নয়, সেহেতু IELTS/TOEFT দিতে হবে। যেখানে আবেদন করা হচ্ছে ওই বিষয়ে ভর্তি হতে গেলে General GRE অথবা Subjiect GRE লাগতে পারে। প্রথমে যত ভালো স্কোর আসবে তত ভালো ৩ থেকে ৪ মাস ভালো করে পরীক্ষা দিলে ভালো কিছু হবে বলে আশা করা যায়।
- কাজে বা অন্যান্য যোগ্যতাঃ অভিজ্ঞতা থাকলে আপনার Academic CV দিয়ে উল্লেখ করুন| যেকোনো বিষয় অভিজ্ঞতা থাকলে উল্লেখ করুন এবং ভাল আপনার এডমিশন সহায়তা করবে| যার ফলে লেখা চিঠি দেখবে না, আপনার শিক্ষক বা প্রফেসারের কাছে থেকে অফিসিয়াল চিঠি যাবে প্রতিষ্ঠানে।
সিজিপিএ মানে কি
একটি নির্দিষ্ট সময় কালের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী অর্জিত গ্রেড পয়েন্টের ঘর এটি গ্রেট পয়েন্ট এভারেজ এর একটি ক্রমবর্ধমান রূপ যা পুরো শিক্ষা জীবনে অর্জিত সমস্ত গ্রেট পয়েন্টের গড়। এটি জিপিএ এর একটি ধারাবাহিক হিসাব প্রতিটি সেমিস্টারের ফলাফলের গড় করে পাওয়া যায়।

নাইস-সল্ভ; আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url