বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত জানুন

বিদেশে মাস্টার্স করার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। তাদের স্বপ্নপূরণ করবে জন্য কিন্তু তারা এটা জানেনা স্থানভেদে টিউশন ফি জীবনযাত্রা খরচ এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে  মাস্টার্স করার জন্য কি পরিমাণে অর্থ প্রয়োজন হতে পারে। 


এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। তবে কিছু দেশে টিউশন ফি কম অথবা স্কলারশিপ এর সুযোগও থাকে। এটি নির্ভর করে আপনি কোন দেশের স্কলার নিয়ে পড়তে চান। নিচে কয়েকটি আনুমানিক হিসাব দেওয়া হলো এখান থেকে আপনি একটি ধারণা পেয়ে যাবেন।

সূচীপত্রঃ বিদেশে মাস্টার্স করার জন্য জীবনযাত্রার খরচ 

বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত

আমরা বিদেশ বলতে বুঝি বাহিরের দেশ। বিদেশে মাস্টার্স করার জন্য জীবনযাত্রার খরচও দেশ ও শহর ভেদে ভিন্ন হয়। যেমনযুক্তরাজ্যে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া্‌ মতো দেশগুলোতে জীবনযাত্রা খরচ বেশি। যেখানে জার্মানি, ফ্রান্স্,মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে জীবনযাত্রা খরচ তুলনামূলক।বিভিন্ন দেশে টিউশন ফি ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত পশ্চিমা দেশগুলোতে টিউশন ফি বেশি হয়ে থাকে,তবে অনেক দেশ আছে টিউশন ফি কম,আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে স্কলারশিপের সুযোগ সুবিধা থাকে।            

আরো পড়ুনঃ 

অন্যান্য খরচের মধ্যে রয়েছে ভিসা প্রসেসিং ফি, বিমান ভাড়া, স্বাস্থ্য বীমা, বইপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রিক খরচ। যদি আপনি বিদেশে মাস্টার্স করার কথা ভেবে থাকেন। তাহলে আপনার পছন্দের দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। স্কলারশিপ এবং অন্যান্য তথ্য সম্বন্ধেও যাচাই করতে হবে। নিচে বিদেশে মাস্টার্স করার জন্য তুলনামূলকভাবে খরচ তালিকা দেখানো হলো।

  • টিউশন ফিঃ যুক্তরাজ্যে বা যুক্তরাষ্ট্র মাস্টার্স কোর্সের ফি প্রায় ২০ থেকে ৫০ ডলার বা ইউরো হতে পারে।
  • জীবনযাত্রার খরচঃ বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য এটি একটি বড় খরচ এটাই প্রায় ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ ডলার হতে পারে।
  • খাওয়ারও অন্যান্য খরচঃ প্রতিদিনের খরচ প,রিবহন এবং অনান্য সেবা পেতে ৩০০০ থেকে ১০,০০০ ডলারের বেশি খরচ হতে পারে।
  • বিমান টিকিট ভিসাঃ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের বিমান টিকিট ভিসা খরচ হয়ে থাকেন। এটামূলত দেশের উপর নির্ভর করেন। ৫,০০ ডলার থেকে ২,০০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।    

স্কলারশিপ কি বা কাকে বলে

স্কলার্শিপ মানে উপবৃত্তি বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাল ফলাফল করলেন উপর থেকে বা সরকার থেকে পাওয়া যায় তাকে মূলত স্কলারশিপ বলা হয় সরকার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ যেমন টিউশন ফি বই পত্র বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসবিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত জানুনপত্র দিয়ে থাকেন সহজভাবে বলতে গেলে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায় দাম স্কলারশিপের মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ বহন করতে সাহায্য করে ভূমিকা পালন করে স্কলারশিপ।

বিদেশি স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা

স্কলারশিপ কারা পায়, স্কলারশিপ তারাই পায় যাদের জিপিএ ভালো জিপিএ খারাপ হলে ভবিষ্যতে পড়াশোনা সংক্রান্ত বাদ চাকরির ক্ষেত্রে অনেক কথা শুনতে হতে পারে। বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষা দক্ষতা্এ‌বং অন্যান্য অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। 

  • শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বেশিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বলে জিপিএ ৩.০ লাগবে তাহলে অ্যাডমিশন দিব আবার অনেকে ৩.৩-৩.৫ চায়। যদি আপনার জিপিএ কম থাকে তাহলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনি হয়তো উন্নত নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন পাবেন না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯০-৩০০ এর GRE score পেয়েও নিয়ে নেয়| আবার ও বলে Overall profile দেখে যেন আপনাকে দুর্বল ক্যান্ডিডেট মনে না হয়|
  • ভাষাগত যোগ্যতাঃ মাতৃভাষা আমাদের যেহেতু ইংরেজি নয়, সেহেতু IELTS/TOEFT দিতে হবে। যেখানে আবেদন করা হচ্ছে ওই বিষয়ে ভর্তি হতে গেলে General GRE অথবা Subjiect GRE লাগতে পারে। প্রথমে যত ভালো স্কোর আসবে তত ভালো ৩ থেকে ৪ মাস ভালো করে পরীক্ষা দিলে ভালো কিছু হবে বলে আশা করা যায়।
  • কাজে বা অন্যান্য যোগ্যতাঃ অভিজ্ঞতা থাকলে আপনার Academic CV দিয়ে উল্লেখ করুন| যেকোনো বিষয় অভিজ্ঞতা থাকলে উল্লেখ করুন এবং ভাল আপনার এডমিশন সহায়তা করবে| যার ফলে লেখা চিঠি দেখবে না, আপনার শিক্ষক বা প্রফেসারের কাছে থেকে অফিসিয়াল চিঠি যাবে প্রতিষ্ঠানে।  

সিজিপিএ মানে কি

একটি নির্দিষ্ট সময় কালের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী অর্জিত গ্রেড পয়েন্টের ঘর এটি গ্রেট পয়েন্ট এভারেজ এর একটি ক্রমবর্ধমান রূপ যা পুরো শিক্ষা জীবনে অর্জিত সমস্ত গ্রেট পয়েন্টের গড়। এটি জিপিএ এর একটি ধারাবাহিক হিসাব প্রতিটি সেমিস্টারের ফলাফলের গড় করে পাওয়া যায়।

বিদেশী মাস্টার্স করতে কত সিজিপিএ  লাগে

যদি আমরা একাডেমি লাইফে থাকতে চাই তাহলে সিজিপিএ ভালো সেক্টর। সিজিপিএ  এসব কিছু ব্যাপারটা এমন নয় । সিজিপিএ  থাকাটা ভালো আমরা যেখানে বা যে ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করেন না কেন ধরেন সে ইউনিভার্সিটিতে ১০ জন আবেদন করছে সেখানে সর্বপ্রথম কাকে প্রাধান্য দিবে যার সিজিপিএ বেশি। সে সবসময় এগিয়ে থাকবে এটা হচ্ছে প্রবলেম। 
আরো পড়ুনঃ 
সিজিপিএ কম থাকাটা প্রবলেম নয় আপনাকে ওই ইউনিভার্সিটি থেকে জিজ্ঞাসা করা হবে আপনার সিজিপিএ কম কেন এটা নিয়ে আপনাকে হিস্ট্রি বলতে হবে, কি সমস্যার কারণে কেন সিজিপিএ কম আর পড়াশোনার বাহিরে যদি আপনার কোন বিষয়ে অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে বিস্তারিত বলার মাধ্যমে কিছুটা সেক্রিফাইস বা সুবিধা পাওয়া যায়।

সিজিপিএ এবং জিপিএ মধ্যে পার্থক্য কি

বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ফলাফল সাধারণত পেয়ে তাকে জিপিএ বলা হয়। জিপিএ অর্থ গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ সমস্ত বিষয়ের প্রাপ্ত সংখ্যার গড় মানকে জিপিএ বলা হয়। সিজিপিএ অর্থাৎ কিউমুলেটিভ গ্রেট পয়েন্ট এভারেজ ,সমস্ত বিষয়ে প্রাপ্ত সংখ্যার মান শতকরা আকারে হিসাব করে গড়মান আকারে প্রকাশ করাকে সিজিপিএ বলা হয়। কিভাবে জিপিএ এবং সিজিপিএ বের করতে হয় নিচে দেখানো হলো ।

বাংলা অনার্স ও মাস্টার্স করা স্টুডেন্টদের ভবিষ্যৎ কি   

বাংলাদেশে অনেক সরকারি, বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল ও কলেজ আছে। প্রায় ৩০+ বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে সরাসরি বাংলা বিভাগ আছে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন। ১৫০+ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও বাংলা বিভাগ নাই এখানে সুযোগ কম। শিক্ষকতা ছাড়া সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে, আর এসব প্রতিষ্ঠানে শুধু অনার্স এর ফলাফল দেখা হয়। আপনার লেখালেখি করার অভ্যাস থাকলে লেখক হিসেবে সাহিত্য জগতে অনুপ্রবেশ  করতে পারেন। আপনি বাংলা পড়েছেন তাই বলে চাকরি করতে হবে এমনটা নয়, আপনি চাইলে ভালো উদ্দোক্তা বা বিজনেসম্যান হতে পারেন। অনেকেই তো স্রোতের বিপরীতে গিয়ে অনেক ভালো করেছে। 

শুধু অনার্স থাকলে পিএইচডি করা যাকে কি

অনার্স ডিগ্রী থাকলে মাস্টার্স না করেও পিএইচডি করা যায়। নর্থ আমেরিকার পিএইচডি গবেষণাকে বেশ প্রাধান্য দেয়া হয়। সেই কারণেই কোর্সগুলো করতে হয় যেগুলো একজন গবেষণার সাথে সম্পর্কিত। প্রকৌশল  সম্পর্কিত বিষয়ে পিএইচডি কোর্স কারিকুলাম ব্যাচেলর কোর্স কারিকুলাম অনেকটাই ভিন্ন হয়ে থাকে। এ কারণে পিএইসডি নতুন করে শুরু করেতে হয়। মাস্টার্স থাকলে পিএইচডি কোর্স রিকোয়ারমেন্ট থেকে দুটা কোর্স কম করা যায়, তবে তেমন লাভ হয় না। শুধু নর্থ আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য প্রযোজ্য। কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে মাস্টার্স এডমিশন পেতে সুবিধা হয়। আর ইউরোপে পিএইচডি করতে মার্স্টাস থাকা আবশ্যক। 

এইচএসসি পরীক্ষা পর কি নিয়ে পড়বেন

এইচএসসি পাশ করার পর আপনারা কি নিয়ে পড়বেন, কি নিয়ে পড়লে আপনার ভালো হবে, ভবিষ্যতে কিছু করতে পারবেন, বর্তমান বিশ্বের দক্ষ হয়ে ওঠার  জন্য সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে বিষয়ের  প্রতি আগ্রহী আমি সে বিষয় নিয়ে পড়ুন। নিচে আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করলে যে সকল সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমান বিশ্বের কর্মমুখী জীবন গড়ে তুলতে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব অনেক বেশি।একজন শিক্ষার্থী চার বছর পর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি করতে পারবে এবং সহজে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে। 
আরো পড়ুনঃ 
নার্সিং ও প্যারামেডিকেল ডিপ্লোমঃ নার্সিং ও প্যারামেডিকেল ডিপ্লোমা নিয়ে পড়াশোনা করলে যে সকল সুবিধা পাওয়া যায়। নার্সিং মেয়েদের জন্য একটু বেশি সুবিধা গ্রহণ করে। বর্তমান সময়ের ছেলে এবং মেয়ে উভয় নার্সিং পড়াশোনা করছে। সে ক্ষেত্রে সরকার প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ নার্স নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাছাড়া প্যারামেডিকেল সেক্টর চাকরি চাহিদা অনেক বেশি। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে যারা পড়াশোনা করে তাদের কখনো বেকার থাকতে হয় না।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক  হতাশ হবেন না, জীবনে কিছু একটা করতে পারবেন অবশ্যই। আমরা বাংলা ভাষাই কথা বলি এটা আমাদের মাতৃভাষা,  আর ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা বলা হয়ে থাকে। তাই এই ভাষাকে ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে এবং ক্যারিয়ার গঠনে এর ভূমিকা অনেক। আশা করি জীবনে ভালো কিছু করবেন। আমি আপনার অগ্রিম সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি। ধন্যবাদ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নাইস-সল্ভ; আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url