ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম - নতুনদের জন্য গাইড লাইন
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম জানতে চান? এখানে পাবেন ধাপে ধাপে নির্দেশনা চ্যানেল তৈরি, কাস্টমাইজেশন, ভিডিও আপলোড, মনিটাইজেশন এস ই ও অপটিমাইজেশন ও ইউটিউব থেকে আয় করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বর্তমানে ইউটিউব একটি জনপ্রিয় এটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম। তাই এই ইউটিউব প্লাটফর্মে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তার কনটেন্ট ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন উপায়ে আয় করছে। যদি আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান এবং কনন্টেন শেয়ার করতে চান তাহলে আজকের এই গাইড লাইনের মাধ্যমে আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
সূচিপত্র: ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
- ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
- কিভাবে প্রথম ভিডিও আপলোড করবেন ইউটিউব চ্যানেলে
- মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
- ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য কি কি প্রয়োজন
- ইউটিউব চ্যানেল কত প্রকার
- ইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয় করার ৭টি উপায়
- কিভাবে মনিটাইজেশন চালু করবেন
- ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায়
- আপনার ভিডিওটি কে কিভাবে এসইও অপিমাইজ করবেন
- লেখক এর শেষ কথা: ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
ইউটিউব গুগল একটি প্রতিষ্ঠান। আপনি চাইলে দুই ধরনের ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন ব্যক্তিগত ও ব্র্যান্ড হিসেবে ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম গুলো নিচে দেখানো হলো:
প্রথমে গুগল একাউন্ট তৈরি করুন: ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে আপনার একটি গুগল একাউন্ট থাকা জরুরি। যদি না থাকে, তাহলে সহজে একটি নতুন জিমেইল আইডি তৈরি করে গুগল একাউন্ট খুলে নিন। এই একাউন্ট যদি আপনার ইউটিউবে লগইন করে নিজের চ্যানেল চালু করতে পারবেন। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন-
- জিমেইল আইডি সাইন আপ করুন।
- লিংক এর মধ্যে প্রবেশ করে আপনার নাম ও ইউজার আইডি দিয়ে পাসওয়ার্ড ক্রিয়েট করে একাউন্ট তৈরি করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে একাউন্ট ভেরিফাই করুন।
দ্বিতীয়ত ইউটিউবে গিয়ে লগইন করুন : আপনার যদি জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যায় তাহলে ইউটিউবে গিয়ে আপনার জিমেইল একাউন্ট লগইন করুন।
তৃতীয়ত নতুন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন: আপনি যদি জিমেইল একাউন্টের সাথে ইউটিউব চ্যানেলটি লগইন করা পর সেখানে ডান দিকে আপনার প্রোফাইলের আইকন দেখতে পান তাহলে সেখানে ক্লিক করুন।
- ইউটিউব চ্যানেল অপশন সিলেক্ট করুন
- তারপর কেল্ট চ্যানেল বাটনে গিয়ে ক্লিক করুন।
- আপনি কোন ক্যাটাগরি চ্যানেল বানাবেন বা কি ধরনের চ্যানেল করবেন সে বিষয়ে আপনার নাম নির্ধারিত করুন।
- তারপর কেল্ট অপশন এ ক্লিক করুন এবং আপনার ইউটিউবের নাম অ্যাড করলে আপনার চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে।
চতুর্থ তে ইউটিউব চ্যানেলটি কিভাবে কাস্টমাইজ করবেন: এখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে গেল। আপনি চ্যানেলকে আপনার মতো করে সাজাতে পারেন,আর এটাকে চ্যানেল কাস্টমাইজ বলা হয়। আপনি প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন তারপর ইউর চ্যানেল অপশনে ক্লিক করুন। তার উপরে ডানদিকে কাস্টমাইজ চ্যানেল অপশনটি পাবেন। এখানে ক্লিক করলে ইউটিউব এর বর্তমান থিম অনুযায়ী তিনটি অপশন থাকবে আর তা হলো লেআউট ব্যানালিং, বিজনেস ইনফো।
বিজনেস ইনফো তে ক্লিক করে আপনার চ্যানেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর তা হলো লেআউট, ব্যানালিং, বিজনেস ইনফো। বিজনেস ইনফো তে ক্লিক করে আপনার চ্যানেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনার সাথে যোগাযোগের জন্য ইমেইল, ভাষাও লিংক শেয়ার করতে পারেন। আপনি যদি ব্যানালিং অপশনে ক্লিক করেন তখন তিনটি অপশন তথা প্রোফাইল পিকচার ,ব্যানার ,ইমেজ ও ভিডিও ওয়াটার মার্ক অপশন দেখতে পাবেন ।আপনি নিজের মতো করে এগুলো যোগ করতে পারেন।
কিভাবে প্রথম ভিডিও আপলোড করবেন ইউটিউব চ্যানেলে
আমরা সকলেই ইউটিউব চ্যানেল তো খুলেই ফেলি কিন্তু সঠিক নিয়মে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করা জানেনা। সঠিক নিয়মে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড না করলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তাই অবশ্যই সঠিক নিয়মটা শিখে রাখুন ধাপে ধাপে আমি আপনাদের গাইড করবো-
- প্রথমত আপনাকে কেল্ট অপশন যান তারপর আপলোড ভিডিও অপশনটিতে ক্লিক করুন।
- দ্বিতীয়ত হলো আপনি আপনার ভিডিও নির্বাচন করুন যেটি আপনি আপলোড করবেন।
- তৃতীয়ত তো টাইটেল নির্বাচন করুন যে বিষয়ে আপনি ভিডিওটি আপলোড করছেন এবং বিবরণ ডেসক্রিপশন ভিডিও সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু লিখুন।
- চতুর্থ হলো এই ভিডিওর ট্যাগ অপশনে গিয়ে কিছু ট্যাগ এড করুন।
- এবং সর্বশেষে আপনি ভিডিওটি পাবলিক অপশনে গিয়ে পাবলিশ করুন।
মোবাইলে মোবাইলে চ্যানেল খোলার নিয়ম
সাধারণত ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ এ ইউটিউব চ্যানেল খোলা সহজ। কিন্তু বর্তমানে মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়। এখন আমরা মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানব। মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে ডেক্সটপ মোড অন করতে হবে। তারপর সাধারণ ইউটিউব চ্যানেল যেভাবে খোলা হয়ে থাকে তা অনুসরণ করতে হবে। সবগুলো ধাপ আমরা উপরে বর্ণনা করেছি উল্লেখিত ধাপ অনুসরণ করে মোবাইলের ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়।
আরো পড়ুনঃ
এছাড়া ইউটিউব অ্যাপ এর মাধ্যমে মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়। যদিও তা দিয়ে বিদ্যুৎ পরিসরের কোন চ্যানেল তৈরি ও ম্যানেজ করা যাবে না। স্বল্প কাজে ব্যবহার করার জন্য মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যেতে পারে। সে জন্য আপনাকে ইউটিউব অ্যাপ জিমেইল আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। অতঃপর প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে ইউটিউব চ্যানেল অপসনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে সেটিং অপশনে গিয়ে আপনার মতো করে তা পরিবর্তন করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য কি কি প্রয়োজন
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কত টাকা লাগে। অথবা ইউরোপ চ্যানের খুলতে কি কি কাগজপত্র বা তথ্যের প্রয়োজন পড়ে। আসলে মজার বিষয় হলো চ্যানেল খুলতে কোন টাকা পয়সা লাগে না এটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং এখানে সামান্য বেশি কিছু তথ্যের প্রয়োজন পড়ে। তবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে অন্য যে বিষয়গুলো প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো-
- একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট
- একটি ডিভাইস
- ইন্টারনেট সংযোগ
- মোবাইল নাম্বার
- ইউটিউব চ্যানেল কত প্রকার
ইউটিউব চ্যানেল সাধারণত দুই প্রকার
পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল: ইউটিউব এর ওয়েবসাইটে গিয়ে জিমেইল একাউন্ট লগইন করেন মাত্র কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করলেই পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। তবে পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল একজন মাত্র ব্যক্তি পরিচালনা করতে পারবেন এবং এখান থেকে টাকা ইনকামের তেমন কোনো সুযোগ থাকে না।
ব্রান্ড ইউটিউব চ্যানেল: পার্সোনালি ইউটিউব চ্যানেলের যে ব্লেন্ড ইউরোপ থেকে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয় এবং এখানে কাস্টমাইজেশন এর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। ব্রান্ড ইউটিউব চ্যানেলের টিম বা গ্রুপে দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এখানে টাকা ইনকামের যথেষ্ট সুযোগের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ এটি একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল। কাস্টমাইজ করার পরে এই ধরনের চ্যানেল দেখতে অনেকটা প্রফেশনাল মনে হয়।
ইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয় করার ৭ টি উপায়
ইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয় করার ৭টি উপায় নিজে আলোচনা করা হলো:
- সঠিক নিশ নির্বাচন: নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে কনটেন্ট বানানো যায় ইউটিউবে। তবে তার আগে খেয়াল রাখতেও হবে, নির্দিষ্ট বিষয়ের যেন যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি শিক্ষক হোন তবে শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী টিউটোরিয়াল তৈরি করুন যা সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। এভাবে রান্না, গেমিং এবং ভ্রমণ বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
- কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে ভালো মানের টুলস ব্যবহার করুন: ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে ভিডিও এবং অডিও কোয়ালিটির ওপর নজর দিতে হয়। এই দুটি বিষয় ঠিক না থাকলে আপনার কন্ঠের যতই ভালো হোক না কেন দর্শক তা পছন্দ করবে না তাই ভালো ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও লাইটিং সেটআপ করতে হবে চ্যানেলের ভিডিওর জন্য।
- বিষয়বস্তু নির্বাচন করুন: নিজের জন্য একটি বিষয়বস্তু ক্যালেন্ডার তৈরি করুন। ভিডিও বানান,দর্শকদের করা মন্তব্য বা চ্যানেলের কনটেন্ট সেকশনে গ্রাহকদের প্রশ্নের জবাব দিন। গ্রাহকদের মতামত সে ক্ষেত্রে গ্রহণ করতে হবে।
- সঠিক কি ওয়ার্ডের ব্যবহার করুন: মনে রাখতে হবে কন্টেন যতই ভালো হোক না কেন কিওয়ার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক কিওয়ার্ড না দিলে ইউটিউব এর ভিডিও ব্যবহারকারীদের কাজে পৌঁছবে না। চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে হবে, তাই গুগল কিওয়ার্ড প্লানার এবং টিউব বাড়ি টুলস ব্যবহার করে উপযুক্ত কি ওয়ার্ড, শিরোনাম বিবরণ এবং ট্যাগ দেওয়া দরকার। এর ফলে ভিডিওর জনপ্রিয়তা বাড়তে পারে, পাশাপাশি আকর্ষণীয় থাম্বেল তৈরি করতে হবে। তবে ব্যবহারকারীরা আপনার ভিডিওতে ক্লিক করবেন আপনার কনটেন্ট ভালো হলে সাবস্ক্রাইব বাড়বে।
- চ্যানেল প্রচার করুন: নিজের ইউটিউব চ্যানেলের প্রচারে যে করতে হবে। এর জন্য আপনাকে আপনার ভিডিও গুলো instagram এবং facebook এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে শেয়ার করতে হবে। পাশাপাশি ইউটিউবার দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে এতে চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়বেন।
- সঠিক বিশ্লেষণ: কোন সময়ে চ্যানেলে দর্শকদের সংখ্যা বেশি হবে সেদিকে নজর রাখতে হবে। সেগুলো খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত। কোন ক্রটি বিচ্যুতি থাকলে তা সংশোধন করতে হবে। প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী ইউটিউবারদের পরামর্শ নিতে হবে।
- সাম্প্রতিক ট্রেন্ড এবং টিপস অনুসরন করুন।
কিভাবে মনিটাইজেশন চালু করবেন
আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু করার জন্য ইউটিউব কর্তৃপক্ষদের সকল তথ্য পরিপূর্ণভাবে পূরণ করতে হবে। তার সাথে অন্যতোমানের ভিডিও নিয়মিত আপলোড করতে হবে তাহলে আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশন আসার সম্ভাবনা থাকবে। তারপরেও মনিটাইজেশন আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে কি না তা জানার জন্য ছোট একটি উপায় রয়েছে-
- প্রথমে যে কোন ব্রাউজারে গিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করতে হবে।
- এরপর ইউটিউব স্টুডিওতে প্রবেশ করে বাম পাশের মেনু অপশনে মনিটাইজেশন এ ক্লিক করতে হবে।
- Monetization Eligibility status অংশে গিয়ে দেখতে হবে যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশনের যোগ্য হয়। তাহলে সেখানে apply now বাটনটি দেখা যাবে। আর যদি এখন উপযুক্ত না হয় তাহলে বানানটি প্রদর্শিত হবে না।
ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায়
ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর নিয়মিত মানসম্মত ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে ভিডিওটি আপনার সাবস্ক্রাইবার এবং ভিডিওতে ভিউ বাড়তে থাকবেন। এ পর্যায়ে মনিটাইজেশনের জন্য যে শতগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ করলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনার মনিটাইজেশন চালু করবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন চালু হওয়ার অর্থ হল আপনার যা ইনকাম হবে তা আপনি উইড্রো অর্থাৎ টাকা তুলতে পারবেন। ইউটিউব থেকে দেখার তোলা বোঝাতে মূলত গুগল এডসেন্স এর যে ডলার জমা হবে সেটাকে বোঝায়। ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে যত ইনকাম হতে থাকবে তার সবটুকুই গুগল এডসেন্স একাউন্টে জমা হতে থাকবে।
আরো পড়ুনঃ
মনিটাইজেশন চালু হওয়ার পর আপনার গুগল এডসেন্সের একাউন্টে ১০ ডলার জমা হলে একাউন্ট খোলার সময় যে ঠিকানা দিয়েছিলেন সে ঠিকানাতে পিন সম্বলিত একটি চিঠি আসবে ভেরিফিকেশন করার জন্য। চিঠির ভেতরে একটি পিন থাকবে সেটি দিয়ে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে হবে। গুগল এডসেন্স একাউন্ট সফলভাবে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনার নির্বাচিত বাংলাদেশের ব্যাংকের সাথে গুগল এডসেন্স একাউন্ট যুক্ত করতে পারবেন।
পরবর্তীতে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে ১০০ ডলার বা তার বেশি জমা হলে এডসেন্স একাউন্ট থেকে সক্রিয়ভাবে ডলার আপনার সিলেট করা বাংলাদেশী ব্যাংক একাউন্টে টাকা হিসেবে ট্রান্সফার হয়ে জমা হবে। যে মাসে ১০০ ডলার জমা হবে তারপর পরবর্তী মাসের ২০ থেকে ২৫ তারিখের মধ্য বাংলাদেশের ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে। জমা হওয়ার ৪-৫ দিন পরে আপনি ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
আপনার ভিডিওটি কিভাবে SEO অপটিমাইজ করবেন
যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়া কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে এসইও সম্পর্কে নির্ধারিত জ্ঞান থাকা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এসইও ছাড়া আপনার ভিডিও রং করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই অবশ্যই আপনাকে এসইও ভিডিও করা শিখতে হবে।
- এসইও করতে হলে আপনাকে প্রথমত ইউটিউবে যে বিষয়ে আপনি ভিডিও বানাচ্ছেন সে বিষয়ে টাইটেল খুবই আকর্ষণীয় বানাতে হবে।
- আপনি যখন ভিডিও সম্পর্কে কিছু বিবরণ লিখবেন তার সাথে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড এড করুন এটিও ফলে আপনার ভিডিও রাঙ্ক করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- এসইও ক্ষেত্রে ভিডিওর বিষয় সম্পূর্ণ মিল দেখে আপনাকে জনপ্রিয় কিছু ট্যাগ সমূহ ব্যবহার করতে হবে।
- এসইও করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার ভিডিও থাম্বেল খুব সুন্দর করে বানাতে হবে সেটি আপনার ভিডিও দেখে যাতে সবাই ক্লিক করেন।
লেখকের শেষ কথা: ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সমূহ সেটআপ করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সহজ যদি উপরে নিম্নলিখিত নিয়মগুলো মেনে করেন। কিন্তু ইউটিউব সফল হতে হলে আপনাকে পরিকল্পিতভাবে মনোযোগ সহকারে কাজ করতে হবে। এছাড়াও আপনার ভিডিও কনটেন্ট গুণগত মান বজায় রাখতে হবে এবং প্রতিদিন আপনাকে ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং ধীরে ধীরে আপনার চ্যানেলটি বড় হয়ে উঠবে এবং সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দেবেন যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। আশা করছি আপনি খুব সহজে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন কিভাবে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।এতক্ষণে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নাইস-সল্ভ; আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url